নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুর বিভাগের ৮ জেলার অর্ধশতাধিক বেসরকারি পাঠাগারে নিয়ে বিভাগীয় পাঠাগার সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ নভেম্বর (শনিবার) রংপুরের পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের আয়োজনে বিভাগীয় পাঠাগার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম পর্বে বিভিন্ন পাঠাগারের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুরের বেগম রোকেয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
সম্মেলনে আলোচকদের বিভিন্ন আলোচনায় পাঠাগারের বইপাঠ কর্মসূচি বেগবান করতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটানোর বিষয় উঠে আসে। স্থানীয় পর্যায়ে লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের তাগিদ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পাঠাগারের নানামুখী সংকট নিরসনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগীতার কথাও উঠে আসে আলোচকদের আলোচনায়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ‘নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় পাঠাগারের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। আলোচনায় অংশ নেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও স্থপতি মসিহউদ্দিন শাকের, তিস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাশ্বত ভট্টাচার্য, বইবন্ধু কাজী এমদাদুল হক খোকন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সফি খান এবং নাট্যকার ও নির্দেশক সরকার হায়দার। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি আবদুস ছাত্তার খান।
সেমিনারের মূল প্রাবন্ধিক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘অতীতের নদী ও প্রাণ- প্রকৃতির সন্ধান পেতে যেমন বই তথা পাঠাগারমুখী হওয়া জরুরি তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি বোঝার জন্যেও পাঠাগার জনগুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাস অনুকূল পৃথিবী দিতে নদী ও প্রাণ–প্রকৃতির পাঠ গ্রহণের জন্য পাঠাগারের অনন্য ভূমিকা আছে’।
সম্মেলনে পাঠাগার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও জয়নাল আবেদিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এবং রংপুর বিভাগের আট জেলার কমিটি গঠন করা হয়। রংপুর জেলার আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন কবি ও প্রকাশক সাকিল মাসুদ।