মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরে এক কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আগমন ঘটবে। বিএনপির ভাষ্য, অন্যান্য গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, তারা নাটোরে বসেছিল। সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার সব পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না করা হলে তারা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট দেবেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ বরাবর আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার পরিবহন মালিক সমিতি আবেদন জমা দেবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করছেন। তারা এ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে শুধু ধর্মঘট নয়। অর্থাৎ তারা জনগণের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন। প্রত্যেকটা সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সমাবেশ বিপুলভাবে সফল হয়েছে। যত ধর্মঘট দেওয়া হোক না কেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হচ্ছে ঢাকার বাইরে শেষ গণসমাবেশ। ওই দিন সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশালসহ কয়েকটি বিভাগে গণসমাবেশ করেছে দলটি। এ ছাড়া আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির।