আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৫ ● ৯ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৫

পঞ্চগড়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার চুরি, চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, বিকাল ০৫:৪০

Advertisement

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে রাতের আঁধারে এক বাড়িতে দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগত ছয় লক্ষ টাকা দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এক দিনের মাথায় চোর চক্রের মূল হোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের জনান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস.এম সিরাজুল হুদা। এর আগে গত ২৬ মে গভির রাতে পঞ্চগড় সদরের জগদল বাজার (১নং অমরখানা ইউনিয়ন) এলাকায় মাসুদ রানার বাড়িতে চুরির ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ সুপার এস.এম সিরাজুল হুদা জানান, একটি বড় অজ্ঞান পার্টির চক্র জেলার বিভিন্ন এলাকার লোককে সাথে নিয়ে এ চুরির কাজ করে আসছিলেন। এর মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা সহ দুইজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর সাথে অনেকেই সম্পৃক্ত রয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চোর চক্রের মূল হোতা জগদল বাজার এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ওরফে তাইজি (৩২) ও দশমাইল বাজার মুহুরীজোত এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে হাসান (৩০)। গ্রেফতারের পর তাইজি'র দেয়া তথ্য মতে তার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহারে জানা যায়, বাদি মাসুদ রানাসহ পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যায়। এর মাঝে চোর চক্রের সদস্যরা বাড়িতে প্রবেশ করে দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগত ছয় লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এর মাঝে মাসুদের ছোট ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আফরোজা বেবগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে বের হলে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। এর পর মাসুদে ডাকা হলে দেখতে পায় ঘরের ভিতরে আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নাই। একই সময় জমাজমির দলিলপত্র ও কাপড় চোপড় বাড়ির আঙ্গীনার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে। এর পর চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রোববার (২৮ মে) পঞ্চগড় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা করে মাসুদ রানা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।

এর পর তৎপর হয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা ও সাব ইন্সপেক্টর শহিদ ও সামসুজ্জামান পুলিশের একটি চৌকশ দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে গ্রেফতার করে।

মন্তব্য করুন


Link copied