আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৫ ● ৯ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৫

হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় শান্তা-শাওন দম্পতি, শেখাচ্ছেন বাঁচতে

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, দুপুর ১১:৪৬

Advertisement

ডেস্ক: আত্মহত্যার প্রণবতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে জীবনের মূল্য শেখাতে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করেছেন শারাবান তহুরা শান্তা ও আল ইমরান শাওন দম্পতি। আত্মহত্যা থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এবং সচেতন করতে ‘প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান, আত্মহত্যা নয়-বাঁচতে শিখি’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেন তারা।

গত ২৮ জুন থেকে ৯২৭ কিলোমিটার পথ হেঁটে শনিবার (২৩ মেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে ভ্রমণ শেষ করেন তারা।

জানা গেছে, শারাবান তহুরা শান্তা পেশায় একজন ব্যাংকার ও আল ইমরান শাওন পেশায় একজন আর্কিটেক্ট। গত দু’মাস আগে শুরু করা এ পথযাত্রায় এক নতুন আঙ্গিকে দেশকে দেখেছেন। শুধু দেশ ভ্রমণেই নয়, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের জীবনের মূল্যটা জানিয়েছেন। তবে এই ভ্রমণে সাধারণ মানুষসহ সবার সাড়া পেয়েছেন বলেও জানান তারা।

শারাবান ও শাওন বলেন, গত ২৮ জুন থেকেই পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করা শুরু করি। প্রথম দিন শাহপরীর দ্বীপ থেকে বড়ডিল পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার হাঁটি। সেখানে থাকার জায়গা না পাওয়ায়, মরিসবুনিয়া নামে একটি স্কুলের নৈশ প্রহরীর বাড়িতে রাত যাপন করি। দ্বিতীয় দিন ঈদের দিন। ঈদের দিন ৩৬ কিলোমিটার হেঁটে বড়ডিল মরিশবুনিয়া স্কুল থেকে ইনানি বিচ পর্যন্ত আসি। ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ১০ দিনে ৪০০ কিলোমিটার একবারে হাঁটি।

এরপর অফিসের ব্যস্ততা, মায়ের অসুস্থতা ও পারিবারিক কিছু কারণে কয়েক সপ্তাহ পর আবার ছুটির দিনে শুরু করি হাঁটা। এভাবে আমরা নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন পেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে উত্তরের সীমান্ত তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে ভ্রমণ শেষ করি। তবে আমাদের এই যাত্রায় আউটডোর বিডি বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছে।

দম্পতিরা আরও জানান, চলার এ পথে নানান বাধার সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু নতুন কিছু শিখতে, মানুষকে জীবন সম্পর্কে জানাতে ও সচেতন করতে পিছু হাঁটিনি আমরা।

বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদানকারী আউটডোর বিডির ফাউন্ডার জুয়েল রানা বলেন, যখন জানলাম জীবন সম্পর্কে সচেতন করতে শান্তা ও শাওন হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করবেন। আমরা চেষ্টা করেছি, তাদের এ ভ্রমণকে সাপোর্ট দিতে। চেষ্টা করেছি, বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করতে। অবশেষে তারা এ যাত্রা পূর্ণ করতে পেরেছেন।

মন্তব্য করুন


Link copied