ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে এক দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চার সাংবাদিকসহ প্রায় দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল পৌরসভা গেটের তালা ভেঙে চত্বরে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে।পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের ডিবিরোডে জেলা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। তাদের পিছু হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত দুই শ জন আহত হয়েছেন। প্রায় দেড়শ জনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্লিনিকে আরো ৫০ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে চারজন সাংবাদিক রয়েছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহবুব হোসেন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রায় দেড়শ জন রাবার বুলেটে আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদেরকে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পৌর শহিদ মিনার চত্ত্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।