২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের ফল অনেকটা আগেই নির্ধারিত ছিল। তাই নির্বাচনের নামে এটা যে ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’ ছিল, ইজাজ গাদ্দানের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত করা কঠিন। এসব প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া প্রার্থীদের মূল পরিচয়, তাঁরা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা। নির্বাচন কমিশন দলীয় প্রতীক কেড়ে নিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন তাঁরা। কিন্তু এরপরও এমন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল তাঁদের।
এই নির্বাচন ও সরকার গঠন থেকে ইমরান খান ও তাঁর দল পিটিআইকে সরিয়ে রাখতে এমন কোনো কৌশল ছিল না, যা সেনা–সমর্থিত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেনি। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়েন পিটিআইয়ের প্রার্থীরা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সবচেয়ে বেশি আসন পান তাঁরা। কিন্তু ছোট আরও কয়েকটি দল নিয়ে সরকার গঠন করে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। আর এই পুরো আয়োজনে ছিল দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর পক্ষ সামরিক বাহিনী।