স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মোজ্জাম্মেল হোসেনের (৪০) তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদন্ড হয়েছে। মঙ্গলবার(১৪ জানুয়ারী) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ,বি,এম গোলাম রসুল ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাশারা পাইকপাড়া গ্রামে বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ওই মামলা থেকে মোজ্জাম্মেল হোসেন বাবা বেলায়েত হোসেন (৬৭) ও ভগ্নিপতি মোবারক হোসেনকে (৪৪) খালাস প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মোজ্জাম্মেল হোসেনের সাজার পরেই তাকে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলার সূত্রমতে, একই বিভাগে রংপুরে চাকুরী করার সুবাদে নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ি গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে মোছাম্মৎ মনিরা আক্তারের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট বিয়ে হয় মোজ্জাম্মেল হোসেনের। তাদের পরিবারে এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর ওপর নানা নির্যাতন চালাতেন মোজ্জাম্মেল হোসেন। এরপর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিরেকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এঘটনায় প্রথম স্ত্রী মোছাম্মৎ মনিরা আক্তার আদালতে মামলা দায়ের করলে ঘরসংসার করার শর্তে আদালতে আপোষ মিমাংসা করেন। ওই মিমাংসার পর আবারো যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর নির্বাতন চালালে ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী মনিরা আক্তার। আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানীর পর মঙ্গলবার ওই আদেশ প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম মোস্তফা সজীব।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন এ বিভাগে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। স্ত্রীর মামলার কারণে তাকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে।