স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নীলফামারী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জামায়াতের এই নেতা কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় নীলফামারী শহরের বড় বাজার থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে সমাবেশ করে। জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টীম সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর আব্দুর রশীদ, জেলা নায়েবে আমীর ড.খায়রুল আনাম, রংপুর মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ্ সালাফী, সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম আজ জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক। বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন যে, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবান্তব ও হাস্যকর। আরেকজন সাক্ষী নিজেকে আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব, আজহারুল ইসলামকে ওই সাক্ষী তাঁর ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। বক্তারা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে।