স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। নুন্যতম সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে অর্ন্তবতীকালিন সরকারকে। জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারই করবে প্রয়োজনীয় সংস্কার।
মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব উর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সোয়েম, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস আজ দেশের প্রধান উপদেষ্টা আর শেখ হাসিনা কোথায়, হিন্দুস্তানে। নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপদেষ্টা মোবাবিলাসহ বিভিন্ন দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে এই জনসমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা দিনের ভোট আর রাতে চাই না। আমরা আর মৃত ব্যক্তির ভোট চাই না। আয়না ঘর আর চাই না। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার শেখানো লড়াইয়ে বিগত ১৬বছরে পরাজিত হই নাই। পরাজিত হয়েছি পুলিশের বেনজির কাছে, পরাজিত হয়েছি হাসিনার আমলাদের কাছে।
এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে এসে যোগ দেয়।
সমাবেশ উপলক্ষে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই আসতে শুরু করে। সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয় শহীদ মিনার মাঠ। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ান চৌধুরী তুহিনের স্লোাগানে স্লোাগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। সমাবেশে নীলফামারী জেলা ও ৬ উপজেলা এবং ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও জেলা আইনজূবি ফোরাম, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, কৃষক দল, তাঁতী দল,মহিলা দল ও জাসাসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন।