স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী(১৩) গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার(১ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এদিকে গণধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে।
গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষক হলো ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৫) ও নেসার উদ্দিনের ছেলে ছামিনুর রহমান (২৪)।
ডিমলা থানার ওসি ফহলে এলাহি দেশ রূপান্তরকে জানান, ধর্ষক দুইজন মেয়েটির পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা প্রায় সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাড়ির বাহিরে থাকা নলকুপ থেকে মেয়েটি পানি আনতে যায়। এসময় সেখানে ওত পেতে থাকা ওই দুই যুবক সুযোগ পেয়ে মেয়েটির মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নলকূপের পাড় থেকে কিশোরী ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেত হতে মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে গুরুতর অবস্থায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে জরুরী বিভাগের ডাক্তার ধর্ষণের বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে ওই রাতেই ধর্ষিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ধর্ষকদের চারিদিক ঘিরে ফেলে আটক করে রাতেই ডিমলা থানায় সোপর্দ করেছে। শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে ধর্ষকদের চিহিৃত করে পুলিশকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানায়। ওইদিন বিকালে ছাত্রীর বাবা সুলতান আলী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডিমলা থানায় মামলা করে।