নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন মাসুমা রহমান তানি। তাকে আওয়ামী লীগের দোসর দাবি করে তার অপসারণের দাবি উঠেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। এফডিসির মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনও করেছে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি।
তবে এসব নিয়ে না ভেবে এফডিসি নিয়েই ভাবছেন তানি। অফিস করছেন নিয়মিত। প্রতিনিয়ত ভাবছেন কীভাবে এফডিসির সংস্কার করা যায়।
তানি বলেন, ‘শুধু কাজ বা দায়িত্ব নয়, এফডিসি আমার ভালোবাসার জায়গা। দায়িত্বের সঙ্গে যখন প্যাশন মিলে যায়, তখন সেই কাজটি ভিন্ন মাত্রা পায়। আমার আগে যারা কাজ করতে এসেছেন এখানে, তাদের ওপর সেই সময়ের সরকারের নানা রকম প্রেশার থাকত। কিন্তু এই সরকার দেশের সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। এই সুযোগে এফডিসির সংস্কার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তানি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়ে গেছে। ফ্লোরগুলোর ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শুটিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া এখানে শুটিং করতে নির্মাতারা ভয় পেতেন। নানা রকম নিয়মের বেড়াজাল থাকত। সেই বিষয়গুলো সমাধান করা হচ্ছে। আরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে।’
এফডিসির পাওনা অর্থ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তানি বলেন, ‘অনেকের কাছে এফডিসি টাকা পায়। এমন অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের টাকার শেষ নেই। অথচ এফডিসি থেকে বিশাল অর্থের কাজ বাকিতে করিয়েছেন। টাকা ফেরত দেওয়ার নাম নেই। জানতে পেরেছি, তাদের বারবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা তাদের কাছে পাওনা, অথচ এখানকার মানুষজন বেতন পায় না। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। যেহেতু এখানে নতুন এসেছি, আমি চাইব তারাও আমাকে সহায়তা করুক। প্রত্যেককে বলেছি, শুধু চিঠি চালাচালি না করে নিজ থেকে এফডিসির হয়ে যোগাযোগ করতে। প্রথমে তাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গেই পাওনা চাওয়া হবে। না হলে আইনি পথেই হাঁটতে হবে।’