নিউজ ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে চলছে টানাপোড়েন। একটি পক্ষ চায়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সবাইকে বাদ দিয়ে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ গঠন করানো।
আরেকটি বিকল্প হলো, শেখ হাসিনার সম্মতিতে তার পরিবর্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে 'রিফাইন্ড' তথা পরিশোধিত আওয়ামী লীগকে ভোটে রাখা।
এদিকে, রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরকারকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছে। এ চাওয়া পূরণে শেখ হাসিনাবিরোধী নেতাদের আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যায় কি না, এ ভাবনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের মধ্যে।
তবে এ সুযোগ পেতে হাসিনাবিরোধী নেতাদের জুলাই গণহত্যা, তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন, গুম-খুন, ব্যাংক লুট, টাকা পাচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে 'রিকনসিলিয়েশন' বলতে চাচ্ছেন কেউ কেউ। তাতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের কয়েকজনের সায় আছে।
বিএনপির সূত্রগুলো সমকালকে জানায়, শেখ হাসিনা এবং যাদের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে, তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এলে আপত্তি নেই দলটির।
এদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে এ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা আছে। তবে তিনি 'বিদ্রোহী' হতে রাজি নন। খবর-সমকাল