নিউজ ডেস্ক: রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি লিপি খান ভরসাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো: ইকবাল কবির এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম চৌধুরী। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আল আমিন।
এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
এর আগে গত ১৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১৭ নম্বর রোডের ৯/বি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয় আওযামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত লিপি খান ভরসাকে । একইদিন রাত সাড়ে ৯টায় রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমান লিপি খান ভরসাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে মহানগর জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ১৮ মার্চ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর ২০ মার্চ তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত: বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত রংপুর মহানগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের করা হত্যাচেষ্টা মামলার ১৭৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি লিপি খান ভরসা। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি রাজধানীর গুলশানে স্বামীসহ বসবাস করছিলেন।
লিপি খান সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসির নির্বাচনী সভা-সমাবেশে অংশ নেন।
এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সিটি বাজারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় আ’লীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আবারও গেলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় গত বছর ১৩ নভেম্বর রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন বাদী হয়ে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করেন। তিনি এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৭৯ নম্বর আসামি।