নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দেশটিতে ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
রোববার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যে জানা যাবে ঈদ উদযাপনের চূড়ান্ত সময়।
দেশটির মালয় মেইল জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (যাকিম) এবং শাসকদের সম্মেলন (কনফারেন্স অফ রুলস) যৌথভাবে চাঁদ দেখার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের বুকিত মেলাওয়াতি এবং বুকিত জুগরা, জোহরের বাইতুল হিলাল বাঙ্গুনান সুলতান ইসমাইল, কেদাহের কাম্পুং পুলাউ সায়াক এবং আলোর সেতার টাওয়ার এবং কুয়ালালামপুরের কেএল টাওয়ারসহ ২৯টি সরকারি নির্ধারিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে চাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
মালয় মেইল তার প্রতিবেদনে আরও জানায়, এ বছর ঈদুল ফিতর ৩১ মার্চ (সোমবার) বা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) হতে পারে। যদি রোববার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ঈদ হবে সোমবার। অন্যথায় রমজান ৩০ দিন পূর্ণ করে ঈদ হবে মঙ্গলবার।
ঈদের চাঁদ দেখার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন দেশটির ‘কিপার অফ দ্য রুলার্স সিল’, যা দেশটির রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন ও রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
মালয় মেইল জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার ঈদ নির্ধারণের জন্য হিসাব ও রুকইয়াহ উভয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। গাণিতিক বিশ্লেষণ চাঁদের অবস্থান পূর্বাভাস দিয়ে থাকে, সে হিসেবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভৌত পর্যবেক্ষণ (চাঁদ দেখা) বাধ্যতামূলক দেশটিতে।
২০২২ সালের মতো এবারও ‘রায়া তেরকেজুত’ ঘটতে পারে কি না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। ওই বছর হিসাব অনুযায়ী, চাঁদ দেখা অসম্ভব মনে হলেও শেষ মুহূর্তে দেখা যাওয়ায় ঈদের ঘোষণা একদিন এগিয়ে আনা হয়েছিল। ফলে অনেকেই প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি। সে হিসাবে এবার দেশটির অনেক প্রদেশ ১ এপ্রিলকেও ছুটি হিসেবে সংরক্ষণ করেছে, যাতে ঈদ একদিন পিছিয়ে গেলে কর্মজীবীদের ছুটির সুবিধা বজায় থাকে।
এদিকে প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনেই। দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপিত হবে।