নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তাঁর শাসনামলে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার ভোরে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) এই ঘোষণা দেয়।
পিডব্লিউএ একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্যরা নরওয়ের রাজনৈতিক দল পার্টিয়েত সেন্ট্রামের সঙ্গে যুক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পার্টিয়েত সেন্ট্রাম জানায়, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার অধিকার রয়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তাঁর কাজের জন্য মনোনীত করেছি।”
এর আগে ২০১৯ সালেও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। প্রতিবছর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শতাধিক মনোনয়ন পেয়ে থাকে। এর মধ্য থেকে আট মাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দী ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মামলায় তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটি তাঁর বিরুদ্ধে চতুর্থ বড় মামলা, যাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস ও অবৈধ বিয়ের তিনটি মামলায় দেওয়া দণ্ড আদালত বাতিল বা স্থগিত করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন।
সোর্স: তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদলু