নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় ইমাম রহিম গাজী। নামাজে মোট ১৯ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও তিনজন নারী।
ঈদের নামাজ আদায় করা একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমি এই বছরে প্রথম এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেছি। আমি পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মে ঈদের জামাত আদায় করতাম। তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে যা বুঝলাম এবার ঈদের নামাজ আদায়ের পর আগের মতোই আমার অনেক ভালো লাগলো।
ইমাম রহিম গাজী বলেন, মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে তাই আমাদের এই স্থানে ঈদ হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা তা না। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠে না। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠে সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়। পৃথিবীর পরিসীমা যেহেতু অনেক বড় তাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র সে কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয় একথা বলা হয়। আমরা এভাবে ঈদ পালন করে আসছি ৮ থেকে ১০ বছর আগে থেকে। আগে মুসল্লি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম। বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুই তিন বছর থেকে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।