নিউজ ডেস্ক: সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু মুসল্লি। দেশের প্রচলিত নিয়মানুসারে এলাকায় একদিন আগেই ঈদ পালন করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দার মধ্যপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে এ নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
সকাল থেকেই জেলার সদর উপজেলার, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হেঁটে, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে তালুক ঘোড়াবান্ধা মধ্যপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। পরে তারা স্থানীয় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের জামাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিশুসহ ৩০-৪০ জন মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা যথানিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।
নামাজ আদায় করতে আসা তালুক ঘোড়াবান্ধা এলাকার মুসা মিয়া (১৯) একই গ্রামের সোলায়মান (৪৫) বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়তেই আজ সকালে এখানে আসছি। সবাই মিলে ঈদুল ফিতর আদায় করলাম। এভাবেই ১০ বছর ধরে ঈদ করে আসছি।
ওই এলাকার মোস্তফা মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের ৮-১০ টি পরিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছি। তিনি বলেন, চাঁদ একটাই সেটা সারা দুনিয়ার জন্যই। আমরা চাঁদ দেখতে পাই নাই, কিন্তু সৌদি আরব সারা দুনিয়ার কেন্দ্র বিন্দু, সেখানে চাঁদ দেখা গেছে। তাই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমরা ঈদ পালন করি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার তিনগাছতলা এলাকার শাকিল (৩২) বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আমার গ্রামে আমি ও আমার পরিবার মিলে সৌদির সাথে মিল রেখে নামাজ আদায় করি।
এদিকে, একদিন আগে ঈদ পালনে অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।