নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ ঈদ পালন করছেন পিরোজপুরের তিন উপজেলার ১০ গ্রামের ৮ শতাধিক পরিবার।
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ রবিবার ওই সব পরিবার ঈদ পালন করছেন বলে তারা জানান।
জানা যায়, আজ সকাল ৮টায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী এলাকার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের হাজী ওয়াহেদ আলী হাওলাদার বাড়িতে, নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আল-আমি মসজিদে সকাল ৮টায় এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খন্দকার বাড়িতে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া ছয় গ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার, জেলার কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭৫/৮০ পরিবার এবং নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৫০ পরিবার এই ঈদ পালন করছেন।
কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল ৮টায় আমাদের মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করি।
নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আল-আমিন জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।
উল্লেখ্য, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা ১৩০ বছর ধরে প্রতিবছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দুই ঈদ পালন করে থাকেন।