নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ এবং জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। শনিবার রাতে আরব দেশসমূহে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা হলে চাঁদপুরে এসব গ্রামে ঈদের জামায়াতে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের প্রথম জামায়াত সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জামায়াতে ঈমামিত করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
এরপর দ্বিতীয় ঈদ জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।দরবার শরীফের দুটি ঈদ জামায়াতে আশপাশের গ্রামের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি।
দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এছাড়াও মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারীরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর।
মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।