নিউজ ডেস্ক: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা ইমান আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চর রুদ্রেশ্বর, তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট আহলে হাদিস জামে মসজিদ ও একই ইউনিয়নের বোতলা এলাকায় এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।
মুন্সিপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি কায়দে আজম জিন্নাহ বলেন, সারা বিশ্বে একই দিন ঈদ হবে। এ বিশ্বাস থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২০১১ সাল থেকে এ এলাকার মানুষ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শবেকদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে আমরা ঈদ পালন করি। এতে ঈদের জামাতে ৫ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন অন্য জামাতে।
ঈদগাহ মাঠের ইমাম ইমান আলী বলেন, শুরু থেকেই এই মাঠে আমি ইমামতি করে আসছি। একদিন আগে ঈদ হয় এতে কোন প্রকার সমস্যা আজ অবধি হয়নি। একদিন আগে কেন ঈদের নামাজ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোরআন থেকে জেনে শুনে আমরা ঈদ পালন করে আসছি, এখানে কোনো ভুল নেই। আমাদের মতো দেশের সকল মানুষের ঈদ পালন করা উচিত। তাহলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।
সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়া ঈদগাহ মাঠের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি রিপন আলী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে এসব এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে কিছু মানুষ। নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।