আর্কাইভ  রবিবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ● ৩০ চৈত্র ১৪৩১
আর্কাইভ   রবিবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২৫
‘নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলোর তুলনায় এর অবস্থা ভালো’

নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, রাত ০৯:৫৮

Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শণ করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে তিনি পরিদর্শণে এসে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 
শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ নতুন মেডিকেল কলেজগুলোর একটি। উপযুক্ত অবকাঠামো এখনো তৈরী হয় নাই। তবে একটা ভালো জিনিস হচ্ছে, নীলফামারী মেডিকেল কলেজের এখন যেখানে ক্যাম্পাসটা আছে এই ক্যাম্পাসটা অন্য একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরী করা হয়েছিল। সেটা এখন নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ ব্যবহার করছে। সে কারণে অন্যান্য নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলোর তুলনায় এর অবস্থা ভালো। এখানে ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল বলেন, একাডেমিক ভবন বলেন, ক্যাম্পাসের অন্যান্য যে সুযোগ সুবিধা আছে, সেটা বাকী পাঁচটা (নতুন ছয়টির মধ্যে) মেডিক্যাল কলেজে নেই। তিনি বলেন, দেশের কোনো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধের এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজসহ ছয়টি মেডিক্যাল কলেজ বা এর বাইরে অন্য যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার মান বজায় রাখতে হবে। কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হলে আমাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো সবার ভালোর জন্য। আমরা যদি যথাযথ শিক্ষা দিতে না পারি, তাহলে যথাযথ চিকিৎসক তৈরী হবে না। আমাদের প্রথম চেষ্টা অবশ্যই এই মেডিক্যাল কলেজগুলোর মান উন্নয়ন করা। 
মহাপরিচালক বলেন, আমাদের ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নবীন মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ একটি। যেগুলো ২০১৮ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই মেডিক্যাল কলেজগুলোর এখনও পরিপূর্ণ অবকাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালে তৎকালীন সরকার যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই মেডিক্যাল কলেজগুলো স্থাপন করেছে। পরবর্তীতে এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায় যখন ২২-২৩ সালে এসে এক সিদ্ধান্তে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এক হাজার ৩০টি আসন বাড়িয়ে ফেলা হয়। এটার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার ছিল সেটা নেওয়া হয়নি। এর কারণে আমাদের মেডিক্যাল কলেজগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। একটা মেডিক্যাল কলেজ যে পরিমান শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত তার থেকে অনেক পরিমাণে বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে চালাতে হচ্ছে। 
মেডিক্যাল কলেজে সম্মেলণ কক্ষে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিম্মা হোসেন। ওই সভায় মহাপরিচালকের কাছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজের জন্য জমি বরাদ্দ রয়েছে, ওই জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিসহ অন্যান্য সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। 
শেষে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চারটি গাছের চারা রোপন করেন মহাপরিচালক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা) মো. মাসুদুর রহমান, উপ-পরিচালক (সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ) সৈয়দ মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহসহ রংপুর ও দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষগণ।
নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জিম্মা হোসেন জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজের সমস্যা ও সম্ভাবনা দেখতে সরেজমিনে আসেন। তারই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে তিনি নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শণ করেন। দুপুরে তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। 

মন্তব্য করুন


Link copied