স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ মজলুম ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের নৃশংসতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ও ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বিশাল আন্তজার্তিক সুন্নি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লাখ মানুষ ফিলিস্তিনের জন্য হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) মাগরিব নামাজর পর থেকে মঙ্গলবার(১৫ এপ্রিল) ফজরের নামাজের আগে পর্যন্ত শহরের বাংলা হাই স্কুল মাঠে ওই সুন্নি কনফারেন্সে পাকিস্তান, ভারত, দুবাই, লন্ডন, ফ্রান্স, ওমান, নেপালসহ দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন আলেম-উলেমারা অংশ নেন।
মানুষের জনসমুদ্র নিয়ে নিরীহি ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা লন্ডন ম্যানচেষ্টারের ওয়ার্ল্ড ইসলামিক মিশনের প্রেসিডেন্ট হযরতুল আল্লামা কামরুজ্জামান আল-আযামী।
এর আগে সোমবার আসরের নামাজের পর পরই বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠেই ধর্মপ্রাণরা আসর, মাগরিব ও ফজরের নামাজ আদায় করেন। বহুদিন পর সৈয়দপুরে সুন্নি কনফারেন্স ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দোয়া হওয়ায় লাখো ধর্মপ্রাণ উপস্থিত হন বাংলা হাই স্কুল মাঠে। গাউসিয়া ইসলামিক মিশন ও সৈয়দপুরের সর্বস্তরের সুন্নী জনতা আয়োজনের ফিলিস্তিনের পক্ষে এই ইন্টারন্যাশনাল সুন্নি কনফারেন্স রংপুর বিভাগের ৮ জেলার শত শত মানুষ উপস্থিত হন সেখানে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের ভাই মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতে এই ইন্টারন্যাশনাল সুন্নি কনফারেনের আয়োজন। ইতিমধ্যে ঢাকা, দিনাজপুর, রংপুরে হয়েছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যে যার মত করে লড়াই চালিয়ে যাবো বলে জানান তিনি।
এসময় কনফারেন্সে বিশ্ববিখ্যাত নাতখাঁ, বর্তমান বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয় কিউটিভি পাকিস্তানের জনপ্রিয় মুখ হাফিজ তাহির কাদেরী নাত পরিবেশন করে উপস্থিতিদের মনে ফিলিস্তিনের ভালোবাসা জাগিয়ে তোলেন।
পুরো কনফারেন্সে সঞ্চালনা করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের মহাপরিচালক ও আল কুরআন একাডেমী আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরতুল আল্লামা ড. সৈয়দ এরশাদ আহমদ আল-বুখারী।
এছাড়া বিশেষ মেহবানের বক্তব্য রাখেন মধ্যপ্রাচ্য ওমান থেকে শাইখ হাইসান কারীম, দুবাই থেকে হাজী রফিক বারকাতী, ফ্রান্স থেকে উমার আল-ফকেহানী, আজমের শরিফ ভারত থেকে শাইক ইমরান বারকাতী, করাচী পাকিস্তান থেকে শাইখ ইয়াসিন বারকাতী ও ড. মুফতি মাযহার ইকবাল শামী, নেপাল থেকে শাইখ নুর মোহাম্মদ মিসবাহীসহ দেশের ও স্থানীয় অন্যান্য উলেমায়ে কেরাম, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব পীর মাশায়েখ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।