মমিনুল ইসলাম রিপন: জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে জমায়েত হয়।সেখানে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
এ সময় রংপুরের ইমেজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রিট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আইইটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো-
হাইকোর্টের রায়ে অবৈধভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রায় বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে পদবি পরিবর্তন ও মামলার সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করে উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিচু পদে নিয়োগ বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবলকে নিষিদ্ধ করে পরিচালক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
পৃথক ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রমিজ আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও অন্যান্য সমন্বয়কদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফারহান নাজিব বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে যাব। রংপুরে যত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে সবাই একসঙ্গে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। এই ক্ষোভ আমাদের দীর্ঘদিনের।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলেন, ‘ যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হয় ততক্ষণ রাজপথে থাকব আমরা।’