আর্কাইভ  শনিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৫

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর ক্যালেঙ্কারীতেও বহাল তবিয়তে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, তদন্তে প্রশাসনের গড়িমসি

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ০৭:৪৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. তানজিউল ইসলাম জীবন ও ঐ বিভাগের এক ছাত্রীর কণ্ঠ সদৃশ কথোপকথনের ৩টি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া অডিওতে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ মিললেও ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমসি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

গত (১৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অডিও ছড়িয়ে পরে। ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা যায় ঐ শিক্ষক (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) শিক্ষার্থীকে বলছেন ৩.১৬ রেজাল্ট থেকে ৩.৭০ করে দিয়েছেন এবং শিখিয়ে দিচ্ছেন কেউ জিজ্ঞাসা কি বলতে হবে। তিনি ছাত্রীকে বলছেন, তুমি প্রথমে চাইছিলা  “স্যার আমাকে ফাস্ট করে দেন” আমি দিতে পারতাম। আজকে কি জবাবটা দিতাম? তিনি আরো বলেন, একদম সাইলেন্ট। ছাত্রী বলেন, আমি চুপচাপ আছি।
 
শিক্ষার্থীর কাছে সুবিধা নিয়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করতে চাচ্ছেন না।
 
সাজিয়া করিম নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন, ঘাড়ত্যাড়া টিচার মানা যায় কিন্তু চরিত্রহীন মানা যায়না। এই ব্যাটা যদি টিচার থেকে যায় তাহলে তো এরকম ঘটনা আরো ঘটবে।
 
জাহিরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন, রক্ষকই যদি হয় ভক্ষক- তাহলে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্রুত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
 
এ বিষয়ে বেরোবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. তানজিউল ইসলাম জীবন কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন,এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন দপ্তরে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied