স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুস সাক্তার বলেন, ১/১১ সময় তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড ফখরুদ্দিন আহমদ ও সেনা প্রধান মইন উ আহমেদের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছিলেন ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই দেশটাকে গণহত্যা, লুটপাট ,গুম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছিল। ছাত্র জনতার জনরোষের কবলে পড়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। তার সময় সাংবাদিকরা ছিল কোন ঠাসা। সাংবাদিকরা কালোকে কালো ও সাদাকে সাদা বলতে পারেননি। আজ সময় এসেছে সাংবাদিকরা মুক্তমনে যেন লিখতে পারেন। আমরা চাই সাংবাদিকরা সকল বিষয়ে খোলা মেলা লিখবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিররুজ্জামান মন্টু, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আবু হানিফা শাহ , শহর আমির ও সেক্রেটারী যথাক্রমে অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম ও এ্যাডঃ আনিসুর রহমান আজাদ শাহ, ও নীলফামারী জেলা জামায়াতের জেলা মিডিয়া ও প্রচার সেক্রেটারি সাদের হোসেন। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন শহর এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডঃ মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী।
জেলা জামায়াতের আমীর আরও বলেন, আপনার জানেন ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক ব্লগার দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা কান্ড সংঘটিত হয়। ১১৭ বার পিছিয়েছে এই হত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। অনেক পুলিশ প্রশাসনের হাত বদল হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে বস্তুনিষ্ঠ একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তারা। এটি সাংবাদিকতার পেশায় একটি অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠন করার জন্য কলম ধরেন। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক সাগর-রুনি হত্যা কান্ড বেডরুমে সংঘটিত হয়েছিল। সেই সময়ের ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারের এতো দায় পড়েনি বেডরুমে গিয়ে পাহাড়া দেওয়া। এই কথার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদকে উষ্কে দিয়েছিল। ফলে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকান্ড চালানো, শাপলা চত্বরে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল।
সভায় বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা বিগত সরকারের সময় কোনঠাসা হয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারেনি। এখন সময় এসেছে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার। তাই অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হবার আহবান জানানো হয়।
সভায় আরো জানান হয়, গত ১১ এপ্রিল থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নীলফামারী জেলায় জামায়াতে ইসলামির গণসংযোগ চলছে। আগামী শনিবার(১৯ এপ্রিল) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ও লালমনিরহাট জেলা সদরের দুটি বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।