লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে ফ্যাসি্কদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার এই দুইটি শর্ত পূরণ করে তবেই নির্বাচন দিতে হবে। তবেই সঠিক নির্বাচন সম্ভব। এর পরেও নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান, গ্রহণযোগ্য এবং মৌলিক কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চাই। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কখনো সম্ভব নয়। তাছাড়া নির্বাচনি পরিবেশ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের কালেক্টরেট মাঠে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের বিচার, বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মানে প্রয়োজনী সংস্কার ও নির্বাচন এবং ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জামায়াতে আমীর ড. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদীর কিছু দোসর এখনও রয়েছে। একটি গোষ্ঠী চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত। ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর জনগণ এখন চাঁদাবাজি মুক্ত বাংলাদেশ চায়।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। বিগত ৫৪ বছরের কোন সরকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। কে কোন ধর্মের সেটা বড় বিষয় নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশী এটাই বড় কথা। সকল বাংলাদেশীদের নিয়ে আমরা কুরআনের আলোকে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই।
ভারত প্রসঙ্গে জামায়াতে আমির বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা সব সময় ভারতের সাথে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক রাখতে চাই। তবে সেই সম্পর্ক ভারতকেই নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামীলীগ সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের মধ্য দিয়ে তাদের ধ্বংসলীলা শুরু করেছে আর জামায়াতকে নিষিদ্ধের ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সেই খেলা শেষ করেছে। জনগণের বিপক্ষে আগেও কোন সরকার বা গোষ্ঠী ঠিকে থাকতে পারে নাই, আগামীতেও পারবে না।
লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের আমির এ্যাডঃ আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ফিরোজ হায়দার লাভলুর সঞ্চলনায় এসময় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ আলী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল প্রমূখ।
জনসভায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলা শাখার ঘোষনা অনুযায়ী ৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতির লক্ষ্য থাকলেও
জনসভায় জেলার ৫ উপজেলার জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রসিবিরসহ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের মাত্র কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।