বাংলাদেশে প্রতি বছর মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও খোলা জায়গায় এই দুর্যোগে বেশি প্রাণহানি ঘটে। তবে সচেতনতা ও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চললেই বজ্রপাতের সময় নিজেকে ও প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।
বজ্রপাত শুরু হলে দ্রুত বাড়ির ভেতরে আশ্রয় নিন। বিশেষ করে টিনের ঘর, খোলা বারান্দা বা ছাদ এড়িয়ে চলুন। বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যেতে হলে রাবারের জুতা ব্যবহার করা নিরাপদ।
২/ ইলেকট্রনিক যন্ত্র বন্ধ রাখুন:
বজ্রপাতের সময় টিভি, মোবাইল, ফ্রিজ বা কম্পিউটারের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখুন, চার্জার খুলে ফেলুন।
৩/ খোলা মাঠ বা গাছপালার নিচে না থাকুন:
বজ্রপাত শুরু হলে অনেকেই গাছের নিচে অবস্থান করেন। তবে বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে দাঁড়ানো বিপজ্জনক। এছাড়াও খোলা মাঠ, নদী বা ধানখেতে না থাকাই ভালো।
৪/ লোহা বা ধাতব জিনিস থেকে দূরে থাকুন:
ছাতা, বাইসাইকেল, খুঁটি বা বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছি থাকলে বজ্রপাতে বিদ্যুৎপৃষ্টের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ সময় এসব জিনিস থেখে দূরে থাকাই নিরাপদ।
৫/ গাড়ির ভেতর থাকলে নিরাপদ:
গাড়ির ভেতরের ধাতব কাঠামো বজ্রপাত থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। তাই গাড়ির জানালা বন্ধ রেখে ভিতরে থাকা নিরাপদ।
একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আলাদা হয়ে দাঁড়ান। এতে বজ্রপাতের ঝুঁকি কমে।
৭/ বৃষ্টির সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলা:
বৃষ্টির মধ্যে বাইরে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বজ্রপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ঘরের বাহিরে অবস্থান করলে ফোন কথা বলা পরিহার করতে হবে।
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই নিজের এবং আশপাশের মানুষের নিরাপত্তায় বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি।