মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঘীরে মশাল মিছিল করেছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২১ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় ৭ টায় আয়োজিত মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শুরু হওয়া মিছিলটি জিরো পয়েন্ট,বিজয় সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকে শেষ হয়।
তাদের দাবি, দোষী যে-ই হোক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হোক। একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ সামনে আসতেই ফুঁসে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা এক কণ্ঠে বলেন—”নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে” শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেহেদী হাসান বলেন,শিক্ষক যদি রক্ষক রুপে ভক্ষক হয়। তাহলে ক্যাম্পাসে কেউ আমরা নিরাপদ নই। এজন্য বলতে চাই যাদের কাছে আমরা নিরাপদ তারা যদি ভক্ষক হয়ে যায়। ঐ সকল লোককে মাথার উপর দেখতে চাই না। শিক্ষক এ ধরনের কর্মকা-ে জড়িত। এ ব্যাপারে প্রশাসন কেন ঘুমের মধ্যে আছে এটা আমাদের বুঝে আসেনা। বেরোবি শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এখানে আমাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল না। আপনারা শিক্ষক হিসেবে নৈতিকতায় জায়গায় এখানে দাঁড়ানো উচিত ছিল। কেন আমাদেরকে নামতে হলো এর জবাব শিক্ষক আপনারা দায় এড়াতে পারেন না । শিক্ষার মেরুদন্ড যদি শিক্ষক হয় তাহলে অবশ্যই শিক্ষককে এ ব্যাপারে নেমে আসা উচিত।এ ঘটনার সাথে যে জড়িত যেসব শিক্ষক জড়িত তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় সকল কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
রাকিব বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন পিতৃতুল্য আস্থা ভরসা ও আশ্রয়ের প্রতীক কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম, শিক্ষকদের মাধ্যমেই যৌন শিকার হচ্ছেন আমাদের বোনেরা। এই যৌন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বেরোবি প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নিচ্ছে না কেন? যৌন নিপীড়নের সকল ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চাই। এ জন্য যদি আমাদের কঠোর কর্মসূচি দেয়া লাগে ছাত্র জনতা মিলে দিব।
শিবলী বলেন, এখনো কোনো তদন্ত করতেছে না কেন? আমরা এই মশলা মিছিল থেকে বলে দিতে চাই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।