বিনোদন ডেস্ক: হায়দ্রাবাদে পদপিষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। ৫০ হাজার রুপি বন্ডে তার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে হায়দ্রাবাদের নিম্ন আদালত আল্লুকে ১৪ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। গ্রেফতারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি জে শ্রীদেবীর বেঞ্চে অল্লুর মামলার শুনানি হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল হায়দ্রাবাদ পুলিশ।
আল্লুকে শুক্রবার সকালে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আল্লুসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। শুক্রবার অভিনেতার পাশাপাশি আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন সন্ধ্যা থিয়েটারের মালিকও। বাকি অভিযুক্তদেরও অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নিহতের পরিবারের প্রতি আদালতের সমবেদনা রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তকে এর ফলে কীভাবে দোষী বলা যায়? যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেগুলো প্রযোজ্য হচ্ছে না। অভিনেতা বলে তার ব্যক্তি অধিকারে হস্তক্ষেপ করা যায় না। নাগরিক হিসাবে তাঁরও স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছে।
আল্লুকে গ্রেফতার করে নিম্ন আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। সেখানে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে অভিনেতা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে আচমকা পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে ‘বেডরুমে’ ঢুকে পড়ে। তার ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করা হয়। অভিযোগ, তিনি পোশাক বদল করতে চেয়েছিলেন। তার জন্য সঙ্গে এক জন পুলিশকর্মীকে দেওয়া হোক, অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তা রাখা হয়নি। এমনকি, অভিনেতাকে সকালের খাবারও শেষ করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। তিনি জানান, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতেই পারে, কিন্তু এ ভাবে তার ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।