আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ● ২ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: ঈদে ৫ দিন, পূজার ছুটি ৩ দিন হতে পারে       বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দালাল শাওন?       আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম : আওয়ামী লীগ       ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী মাছ ধরা উৎসব       মতিয়া চৌধুরীর জানাজা ও দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে হবে      

 width=
 

অর্থ পাচারে জড়িত আ.লীগ সংশ্লিষ্ট যেসব মন্ত্রী-এমপি ও আমলা

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, সকাল ০৪:০১

অনলাইন ডেস্ক:  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে গত ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা তাদের বিরুদ্ধে।  গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। বিগত লীগ সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা এই পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।

তবে অর্থ পাচারকারীর তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ কিছু দ্বীপরাষ্ট্র। তবে গত কয়েক বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা পূর্ব ইউরোপের মতো দেশগুলোকে অর্থ পাচার করা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ।

এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা অর্ধশতাধিক জনের বিরুদ্ধে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকের হাতে রয়েছে।

 দেশ থেকে পাচারের টাকা সন্ধানে পাঁচ কৌশলে এগোতে চায় টাস্কফোর্স। এগুলো হচ্ছে আমদানি পণ্য এবং রপ্তানির মূল্য দেশে না আনা, আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য, হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় টাকা পাচার।

উপকরণগুলোর তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে দেশ থেকে কারা, কিভাবে টাকা পাচার করেছে। দ্বিতীয়ত, কোন কোন দেশে পাচার করেছে এবং পাচার করা সম্পদ কি অবস্থায় আছে।

পাচারের টাকা শনাক্ত ও দেশে ফেরাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষেত্রভেদে এর আলোকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিএফআইইউ থেকে এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর পাচারকারীর বিরুদ্ধে আরও বহুমুখী তদন্ত শেষে বিশদ প্রতিবেদন তৈরি হবে। এর ভিত্তিতে হবে মামলা।

মামলা পরিচালনায় দক্ষ আইনজীবী নিয়োগের পাশাপাশি সরকারি অন্যান্য সংস্থা থেকেও সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। আদালতে পাচারের ঘটনা প্রমাণ করা গেলেই সেগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।পাচার করা সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং ওইসব সম্পদের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সম্প্রতি পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এগোতে চায়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

মন্তব্য করুন


 

Link copied