আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ● ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: সনাতনীরা কোন নির্দিষ্ট দলের কিংবা রাজনৈতিক দলের সমর্থন করে না       ছাত্রলীগ টিকেটেই শত কোটির মালিক এই নেতারা: নেপথ্য কাহিনী       পলাতক স্বৈরাচাররা ’চট’ করে ফেরে না কখনও!       বিগত সরকার রেলের উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছে- রেলপথ উপদেষ্টা       কোনো দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা নেই- জামায়াতের আমির      

 

আবু সাঈদের শরীরে শর্টগানের গুলির চিহ্ন, রক্তক্ষরণে মৃত্যু

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দুপুর ১১:৩৩

ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের শরীরে মিলেছে শর্টগানের গুলির চিহ্ন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে আইনজীবী বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে এটি ছিল হত্যাকাণ্ড।’ এছাড়া এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন আবু সাঈদের সহপাঠীরা।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শর্টগানের গুলির আঘাতে আবু সাঈদের শরীরে অসংখ্য ছিদ্র তৈরি হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আবু সাঈদের। এছাড়া তার মাথার মধ্যভাগ থেকে পশ্চাৎ ভাগ পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘মাথার আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। সবকিছু মিলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রমাণ করে, এটি হত্যাকাণ্ড। ফলে এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড়া পাবে না।’

এদিকে আবু সাঈদের সহপাঠীরা এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। তারা বলছেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও দায়ী। আমাদের চাওয়া, সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন দমাতে খুব কাছে থেকে নিরস্ত্র আবু সাঈদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদের। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় একটি মামলা করে। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট  ১০ পুলিশ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।

পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে তাদের রংপুর জেলা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি হেডকোর্টার্স আবু বক্কর সিদ্দিক ও পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন। দুটি মামলা এখনো তদন্ত করছে পিবিআই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied