মমিনুল ইসলাম রিপন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলো না এবং যারা ভয়ে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে আবু সাঈদ হত্যা মামলা পরিচালনা থেকে বিরত ছিলেন তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে নিজেদের মধ্যে কাদাঁছোড়াছুড়ি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট।
গতকাল সোমবার দুপুরে রংপুর আদালত প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জোবায়দুল ইসলাম বুলেট বলেন, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথম মামলাটি দায়ের করেন পুলিশ এবং দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা দায়ের করেন, সেই মামলায় মিথ্যাভাবে শিশুদের আসামী করা হয় এবং সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে তারা। ওই শিশুদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আদালতের আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সেই শিশুদের জামিন করা হয়। সেই জামিনে আসামী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে আমি ও আমার জুনিয়র সহকর্মী বাহালুল ছিলাম এখনও আছি।
তিনি আরো বলেন, আমি কখনও বলি নাই, যে আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং তার মাধ্যমে সমাজের কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে। আমি সেই বিষয়টি পরিস্কারের উদ্দেশ্যে আজকে সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছি।
এসময় জোবায়দুল ইসলাম বুলেট বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের মতো তাদের ভুমিকা ছিলো না, বরং এই আন্দোলনের বিপক্ষে তাদের অবস্থান ছিলো। যার কারনে নিজেরা বাঁচার জন্য আবু সাঈদের মামলায় ট্যাগ হয়ে বলার চেষ্টা করছে, আমরা আবু সাঈদের মামলার মুল আইনজীবী। শুধু তাই নয়, তারা আওয়ামী অপশক্তির বলেই আবু সাঈদের মামলা থেকে শেখ হাসিনার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তারা আবু সাঈদের ভাইকে ধরে এনে শিখিয়ে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের নাম বলানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ অক্টোবর পুলিশের আইজিপির সুধী সমাবেশে আবু সাঈদসহ রংপুরের অন্যান্য মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বলেছি মাত্র। আমি একজন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা বলেছি। একটা পক্ষ সুবিধা নেয়ার উদ্দেশ্যে এগুলো করাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের করা আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামী হয়ে জেল খাটা মারজান ও মাহিমসহ কয়েকজন আইনজীবী।