ক্যাম্পাস ডেস্ক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামী মহাসম্মেলন। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলনে ঢল নেমেছে হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের। সকাল নয়টায় মহাসম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফজরের পরপরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। পরে ভোর থেকে শুরু হয় আলোচনা। এ সম্মেলনরে চাপ পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায়ও। এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের সকল স্থানে বিচরণ করছেন আলেম-ওলামারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের গাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা যাতাযাত করতে পারছে না। টিএসসি এলাকায় মোসল্লিদের কারণে দাড়ানো যাচ্ছে না। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র গাড়ি পাকিং করা হয়েছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে নীলক্ষেত ও ঢাকা মেডিকেলের রাস্তায় তীব্র জ্যাম দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরের সকল বসার স্থান দখল নিয়েছে একদল মুসল্লি। তাদের কারণে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসতে পারছে না। অনেকে মল চত্বরের বসার স্থানে শুয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। অনেকে সেখান দল বেধে খাবার খাচ্ছেন। এছাড়া ডাকসু ক্যাফেটিরিয়া, মধুর ক্যান্টিন, গ্রন্থাগার সন্মুখ, হাকিম চত্বরও তাদের দখলে।
হিজবুল্লাহ নামের এক মুসল্লি দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আজ এক জায়গায় সমবেত হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেকের টান রয়েছে। সেজন্য মুসল্লিদের অনেকে ঘুরতে আসছেন। আবার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা না হওয়ায় অনেকে বিশ্রাম নিতে আসছেন। একটি দিনের ব্যাপার। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।
এদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলনের চাপ কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, আজ আমাদের ক্লাস চলমান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে কোন সম্মেলনের চাপ ক্যাম্পাসে পড়ে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সব সময় উদাসীন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে তো তাদের দায়িত্বে থাকার দরকার নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, আমাদের কাছে তারা ক্যাম্পাসে গাড়ি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন আমরা অনুমতি দেইনি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রোগ্রাম তারা জোর করে ঢুকে গেছে। তাদের সাথে তো আমরা মারামারি করতে পারিনা। তারপরেও দেখছি কি করা যায়।