ডেস্ক: প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের ভোগান্তির চিত্র নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু এবার মহাসড়কের চিত্র আগের মতো হবে না এবং ঈদযাত্রা অনেকটাই স্বস্তির হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে চান্দাইকোন পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ অনেকাংশে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে বেশ কয়েকটি আন্ডারপাস। এতে উত্তরাঞ্চলের ২২ জেলার যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
আর জেলা পুলিশ বলছে, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
স্বাভাবিক সময়ে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ওই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের ২২ জেলার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত এ চাপের ফলে প্রতিবছরই যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের।
কিন্তু এবারের মহাসড়কের চিত্র আগের মতো হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ ৭২ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৩ শতাংশের কাজই শেষ। একই সঙ্গে ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে এ পথের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি আন্ডারপাস ও ওভারপাস।
চালক ও যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ খুলে দেয়ায় এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত চার লেনের কাজ অনেকাংশেই শেষ হয়েছে। এতে এবারের ঈদে ঘরমুখো উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই চলাচল করতে পারবে।
সাসেক দুই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আকতার জেভির প্রজেক্ট ম্যানেজার এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা আগে থেকেই মহাসড়কের মুলিবাড়ি ও নলকা আন্ডারপাস এবং কড্ডা ফ্লাইওভার খুলে দেয়ার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করেছি। সেই সঙ্গে খানাখন্দসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার কাজ করায় এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে আশা করছি।’
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ঈদ যাত্রায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় জেলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একাধিক পুলিশের টিম কাজ করবে। এছাড়া মহাসড়কে জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয়ে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।