ডেস্ক: ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে দেখে এলেন বিদিশা সিদ্দিক।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ছেলে শাহতা জারাব এরিককে সঙ্গে নিয়ে সিএমএইচে যান বিদিশা।
ফুসফুসের জটিলতা দেখা দেওয়ায় গত ১৪ অগাস্ট রওশনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এরপর টানা ৭২ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন। গত ২৫ অগাস্ট তাকে আইসিইউ থেকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে আবার আইসিইউওতে ফেরত নেওয়া হয়।
প্রথম দফায় কেবিনে স্থানান্তরের পর বিরোধী দলীয় নেতাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিতে হয়েছিল। এছাড়া ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসাও চলছিল। সম্প্রতি ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে রওশনকে অক্সিজেন দেওয়া লাগছে না।
বিদিশা বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খুব দুর্বল। কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুক্ষণ তার পাশে ছিলাম। তিনি আমার ও এরিকের কথা শুনেছেন। আমি বলেছি, শাদের জন্য কোনো চিন্তা করবেন না। আমরা আছি।”
রওশনের পাশে দাঁড়িয়ে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করার কথাও বলেন বিদিশা।
গত ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এই এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে এরশাদপুত্র এরিক তার সৎ মা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন। যদিও পরে জাতীয় পার্টি থেকে জানানো হয় রওশন দলের চেয়ারম্যান হতে ‘আগ্রহী’ নন।
এইচ এম এরশাদের সঙ্গে বিয়ের সূত্রে জাতীয় পার্টিতে পদ নিয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন বিদিশা, কিন্তু বিচ্ছেদের পর হারিয়ে যান দল থেকেও। এখন আবার জাতীয় পার্টিতে সক্রিয় হতে চাইছেন তিনি। তবে বিদিশার ভাষ্য, তিনি জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন চান।
শাদ এরশাদ শনিবার রাতে বলেন, তার মায়ের অবস্থা এখন ‘উন্নতির দিকে’।