স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সেন্টু রহমান নামের এক প্রতারকের সাথে। মেসেজ ও ভিডিও কলে কথা বলার একপর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি আদান প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয় প্রতারক সেন্টু রহমান। তার বন্ধু সারোয়ার হোসেন সাথে ছবি ও ভিডিওগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে তা দেখিয়ে দুই বন্ধু মিলে কলেজ ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ দাবি করে। টাকা না দিলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি প্রদর্শন করে ওই ভোক্তাভুগী কলেজ ছাত্রীকে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জলঢাকা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার(২৮ আগষ্ট) গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, পিপিএম-সেবার।
পুলিশ জানায়, জলঢাকা উপজেলার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার শিবপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে সেন্টু রহমানের(২৩)। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মেসেজে ছবি ও ভিডিও কলে কথা বলার সময় ওই কলেজ ছাত্রীর গোপন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেন্টু। সেন্টু ও তার বন্ধু একই জেলার পরশা থানার বড়গ্রাম এলাকার সাইদুল রহমানের ছেলে সারোয়ার হোসেন (২৫) ধারণকৃত গোপন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ান হুমকি প্রদান করে ওই কলেজ ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী তাদের নামে জলঢাকা থানায় মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে কৌশলে রবিবার(২৭ আগষ্ট) বিকালে তাদেরকে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার শিবপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সক্ষম হয় জলঢাকা থানা পুলিশ।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুক্তারুল আলম উত্তরবাংলাডটকমকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছবি ও ভিডিও ধারণ, ব্ল্যাকমেইল করা এবং পূর্বেও এমন কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/(২)/(৩) ধারায় মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে সোমবার দুপুরে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।