স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইট এক আওয়ামী লীগ নেতা পাচার করছিলেন। এসময় এলাকাবাসী তা আটক করেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বাউন্ডারি ওয়ালের প্রায় ২০ হাজার ইট ট্রলিতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তা আটক করে। পরে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন ওই স্কুলের অফিস সহকারী এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রাশেদুর রহমান রাশেদ।
এলাকাবাসী জানায়, উক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ আসনে তার ১০ বছরের ছেলের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলেন।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলে ইটগুলো বিদ্যালয়ের মাঠেই স্তুপ করে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ট্রলি গাড়িতে উঠিয়ে গোপনে নিজের শ্বশুরবাড়িতে কয়েক হাজার ইট নিয়ে যান আওয়ামী লীগ এই নেতা। বুধবার সকালে আবারো ট্রলি গাড়িতে ইট উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্থানীয়রা ইটসহ গাড়ি আটকে দেন। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুর রহমান রাশেদের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে এই ঘটনারটির ব্যাখ্যা অন্য ভাবে দেন কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কমলেস চন্দ্র। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের পুরাতন বাউন্ডারি ওয়ালের ইট স্কুলের মাঠে রাখা ছিল। সেখান থেকে তারা নিয়ে গেছে। আমি পরে তাদের কাছে টাকা নিয়ে সরকারি তহবিলে জমা করতাম। এ বিষয়ে তেমন কিছু হয়নি। ইউএনও সাহেব বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ইট এনে সাজিয়ে রাখতে। পরে নিলামে বিক্রি করা হবে।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী হক সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পর সেখানে যাই। প্রধান শিক্ষককে ইটগুলো স্কুলে এনে রাখতে বলি। যদি ইট বিক্রি করতে হয় তাহলে নিলামে বিক্রি করতে হবে। এভাবে কারো কাছে ইট দিতে পারে না তারা। তিনি জানান, দ্রুত একটি তদন্ত টিম গঠন করে এই ঘটনার ব্যবস্থা নেয়া হবে।