আর্কাইভ  রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ● ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
আর্কাইভ   রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: পঞ্চগড়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণ গ্রেপ্তার       নীলফামারীতে ইউনিয়ন ও পৌর ডিজিটাল কেন্দ্রের উদ্যোক্তা কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি       জমি দখলের অভিযোগ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতির বিরুদ্ধে       রংপুর সিটিতে নাগরিক সেবা সহজীকরণে হটলাইন:  ৬  কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে দায়িত্ব বন্টন       বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে ফের উৎপাদন শুরু      

 width=
 

কুড়িগ্রামে পাট কাটতে গিয়ে অজ্ঞাত পোকার কামড়ে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, রাত ১০:৩৫

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পানিতে পাট কাটতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিকের গায়ে ফুসকা পড়ে ঘা সৃষ্টি হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হওয়ায় অজ্ঞাত পোকার কামড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভূগছেন অনেকে।

এলাকাবাসী ও আক্রান্ত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের সুখদেব ও মনশ্বর গ্রামের প্রায় শতাধিক শ্রমিক ১০/১২দিনে আগে অন্যের পাটক্ষেতে পানিতে পাট কাটার সময় এক ধরনের ছোট ছোট লাল ও কালো পোকা গায়ে উঠে কামড় দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যে তা পুরো শরীরে জ্বল জ্বলে হয়ে ফুসকা পড়ে যায়। এ ফুসকায় প্রচুর ব্যথা শুরু হয়। আসতে আসতে বড় ধরনের ঘায়ের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পরও ভাল হচ্ছেনা। আবার অনেকের ঘা শুকে গেলেও চুলকানি কমছে না। উপজেলার সুখদেব গ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে আনিছুর রহমান(৫৫), কৈলাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুবাস চন্দ্র(৪৫), কাশেম আলীর ছেলে আলাল মিয়া(৬০), মনশ্বর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন(৪০), পাড়া মৌল্লা গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে খয়বর আলী(৬০), মনশ্বর গ্রামের আব্দুলের ছেলে সাহেব আলী(৬৫), আবু তাহেরের ছেলে আতিকুর(৩৫),পাড়ামৌল্লা গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে নুরআলম(৩২),সুখদেব গ্রামের ময়জুদ্দির ছেলে আঃরশিদ(৫৫), জামালউদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর(৭০),ইয়াছিন আলী (৪০), ইউনুছ আলী (৫৫),ছমছেল হকের ছেলে নুরুজ্জামান(৪৬), ছহির উদ্দেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম(৪০),মাহাম্মদ আলীর ছেলে জব্বার আলী((৫৫),মহির উদ্দিনের ছেলে লাভুমিয়া((৪০), ওয়াহেদ আলীর ছেলে ফকরুল ইসলাম(৩৮), আছিরউদ্দিনের ছেলে সাহাবউদ্দিন((৫৬), আম্বার আলীর ছেলে আমিনুর ইসলাম(৪৫),ময়জুদ্দিনের ছেলে আঃরহিম(৩৮) ও আবুল হোসেন(৫৫)সহ এ অজ্ঞাত আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে চিকিৎসক সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে না পারায় ও প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন উন্নত চিকিৎসা দিতে না পারায় তারা এখনো অসুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃমিজান বলেন, কি কারণে এ রোগ দেখা দিয়েছে তা জানাযায়নি। তবে এ ধরনের দুই/একজন রোগী পেয়েছি। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী তারা আর চিকিৎসা নিতে আসেনি। এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা উপ-সহকারি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল নোমান বলেন, কিছু ছিু পাট ক্ষেতের পাট গাছের পাতার নীচে এক ধরনের পোকা দেখা গেছে। পাট কাটতে গিয়ে ওই পোকার আক্রমন করলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ পোকার নাম কিংবা রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি বিআরডিসিকে অবগত করেছি। #

 

রাজারহাটে তিস্তা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ২৪-০৭-২০২৪ ইং।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদী পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাপকভাবে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গত ৩/৪দিনে তিস্তা নদীর ভাঙ্গণে ৫০টি ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গণের শিকার আরও কয়েকটি পরিবারের অসহায় মানুষজন তাদের বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ ও কবরস্থানসহ আরও প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি হুমকীর মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এর নজর দারী না থাকায় ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার ধারন করেছে। অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জিবন যাপন করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ বড়দরগা গ্রামে তিস্তা নদীন ভাঙনে গত ৩/৪দিন ধরে সিরাজুল ইসলাম(৩৫), সহিদুল ইসলাম(৩৮), হারুন অর রশিদ(৪৫), আবুল হোসেন(৩৫), আতকুলইসলাম(৪০), আশরাফুল আলম(৫০), সাহিদুল ইসলাম(৪৬), শফিকুল ইসলাম(৪৮), নুরুল হক(৪০), শামছুল হক(৪০), জিয়ারুল (৩৫),আঃকরিম(৫৫), মফিক ঘাটিয়াল(৩৬) ও আবুল হোসেন(৩০) এর বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। অনেকে তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে উঁচু, জায়গায়, রাস্তার পাশে এবং অন্যের জায়গায় কোন রকমে মাথা গুজে আছে। এসব দেখার কেউ নেই। সরকারের মহা পরিপকল্পনা বাস্তবায়ন বিলম্বের কারণে এসব ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনের কারণে ভিটে-মাটি ও ফসলি জমিসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙগন কবলিত এলাকায় জনসাধারনের সাময়িক দূর্ভোগ লাঘবের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ১কেজি মুড়ি, ১কেজি চিড়া, এক প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি, ৪টি খাবার স্যালাইন শুকনো খাবার হিসেবে বিতরণ করা হয় বলে ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগন্য। মঙ্গলবার(২৩জুলাই) রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ওই এলাকার মেম্বার ৩টি বাড়ি ভাঙগনের তথ্য দিয়েছে। তাদের ত্রানের ব্যবস্থা করাহয়েছে। এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, আপাতত আমাদের ত্রান ছাড়া কিছু করার নেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied