ডেস্ক: চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদানে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় কৃষি গুচ্ছে এ বছরই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ লক্ষ্যে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল চত্বরের পাশাপাশি নতুন একটি পাঁচতলা ভবন (নির্মাণাধীন) প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইউজিসির অনুমোদন পেলে সেখানেই শুরু হবে শিক্ষা কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে বন্ধ হওয়া কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা নাও হতে পারে। এজন্য বিকল্প হিসেবে টেক্সটাইল মিলসের কাছেই কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের রেলক্রসিংয়ের পাশে নতুন একটি ভবন প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন পেলে ওই ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি পাওয়া গেছে। প্রশাসনিক ও অন্যান্য জনবল নিয়োগের অনুমতির ফাইল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) দেবদাস দত্ত মজুমদার বলেন, ‘এ বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। অন্যান্য প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউজিসি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে। কৃষি গুচ্ছের আওতায় দুই অনুষদে প্রথম বছর ৪০ জন করে ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।’
প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জেলা শহরের দক্ষিণে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের কাছে নালিয়ার দোলা এলাকায় ২৫০ একর জমির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এজন্য ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব (ডিপিপি) জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি কাজে ব্যয় পরিকল্পনা ধরা হয়েছে। ডিপিপি অনুমোদন পেলে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।