মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, আপনারা ঢাকা ও খুলনার পার্টি অফিসে আগুন দিয়েছেন, সাহস থাকলে রংপুরের পার্টির অফিসে আগুন দিয়ে দেখান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রংপুর মহানগর-জেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপা’র কো-চেয়ারম্যান মোস্তফা জনসভায় আরও বলেন, বিভিন্ন গাছে আমরা পরগাছা দেখতে পাই। সেই পরগাছা হলো এই নুর সাহেবের দল গণঅধিকার পরিষদ। তারা সমাবেশ করতে বিএনপিকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চায়। তাদের নিজেদের কিছু করার সক্ষমতা নাই। তাদের নিয়ে কিছু মন্তব্য করা আর সময় নষ্ট করা একই কথা। তাদের হিসাব করার সময় জাতীয় পার্টির নাই।
তিনি আরও বলেন, রংপুরে এসে নুর সাহেব বলেছেন মেয়র মোস্তফা চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। সাহস থাকলে সামনে এসে বলেন। আমরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। পিঠের চামড়া কারো থাকবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে মোস্তফা বলেন, আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কোনো নির্বাচন বাংলার মাটিতে হবে না। যে পথে গেছে আপা, সে পথে যাবে জাপা সারজিসের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোস্তফা বলেন, জাতীয় পার্টির ইতিহাস ৪২ বছরের ইতিহাস। জাতীয় পার্টির ইতিহাস ৯ বছর সুশাসনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাস। সমন্বয়ক সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বলেন, ভুলে যাইয়েন না আবার গর্জে উঠবে রংপুর। আপনাদের মসনদ উল্টে দেয়ার জন্য এই রংপুরকে যথেষ্ট মনে করি। সারজিস আরও বলেছে যে, পিপীলিকার পাখা গজে মরিবার তরে, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টি কোনো পিপড়া নয়। জাতীয় পার্টি হলো বাজপাখি। যাকে একবার ধরি, তাকে আর ছাড় দেই না। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, মহানগর যুবসংহতির আহ্বায়ক ইউসুফ আহমেদ, সদর উপজেলা জাপার আহ্বায়ক মাসুদন্নবী মুন্নাসহ জেলা, মহানগর, উপজেলা- ওয়ার্ড জাপা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির একই দিনে জনসভাকে ঘিরে দু’পক্ষ ছিল একে-অপরের মুখোমুখি। গণ অধিকার পরিষদ জিলা স্কুল মাঠে জনসভা ডাকলে জাতীয় পার্টি তাদের কার্যালয়ের সামনে জনসভার ডাক দেয়। এ নিয়ে নগজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি জনসভাকে ঘিরে কঠোর অবস্থান নেয় আইন-শৃঙাখলা বাহিনী ও পুলিশ ও প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়া হয়। স্ব-স্ব স্থানে শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের সভা করার অনুমতি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।