স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে পেটের বাচ্চা নষ্ট করার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারের বাবুল হোসেন ও মোছাঃ মেনু বেগম দম্পতি তাদের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ওই দম্পতির মেয়ে রিভা আক্তার, এলাকাবাসী আসহাব আলী, মজদুল হোসেন, লুৎফর রহমান, ফাতেমা বেগম প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন,‘আমাদের প্রতিবেশী ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের হেনস্থা করার জন্য নীলফামারীর সদর থানা আমলী আদালতে পেটের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ এনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় গত ৩ জানুয়ারী আমরা পরিকল্পিতভাবে তাদের বাড়ীর সামনে গিয়ে ঝগড়া শুরু করে ওবায়দুল্লাহর মেয়ে শাহনাজ বেগমকে মারধর করি ও তলপেটে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার পেটে থাকা সন্তানকে নষ্ট করে দেই। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কখন মারামারি হলো, তারা কখন হাসপাতালে ভর্তি হলো, কখন আমাদের নামে মামলা দিলো সে বিষয়েও আমরা কিছুই জানি না। কয়েকদিন আগে আমাদের নামে মামলা করার বিষয়ে আমরা জানতে পারি।
প্রকৃতপক্ষে শাহনাজের পেটে বাচ্চা থাকাকালীন গরুকে খাবার দেয়ার সময় গরুর লাথির আঘাতে তার পেটে থাকা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। আমার প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি-যায়গা নিয়ে বিরোধ থাকায় তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তারা আমাদের নামে আরও মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমাদের নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন,‘ওবায়দুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে ভুক্তভোগী বাবুল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করলেও ওবায়দুল্লাহর পরিবার তা মেনে নেয় না। গত ৩ জানুয়ারী এলাকায় কোনো ঝগড়া ও মারামারির এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নি। ওবায়দুল্লাহর মেয়ে শাহনাজ বেগম কখন গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে বিষয়েও কেউ জানেও না। আমরা শুনেছিলাম গরুর লাথির আঘাতে তার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়েছিল। সেই ঘটনায় বাবুলের পরিবারের নামে মামলা করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক।’