আর্কাইভ  বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ● ২৩ মাঘ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঘোড়াঘাটে স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যা স্বামী শ্বাশুড়ী গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩, দুপুর ১১:৫৮

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কিছুদিনের প্রেম। এরপর পরিবারের অসম্মতিতে ঘোড়াঘাট পৌরসভার নয়াপাড়া এলাকার মৃত আকবর হোসেনের ছেলে লাইম মিয়া ওরফে নাহিদকে (২০) পালিয়ে বিয়ে করেন কিশোরী সাদিয়া আক্তার সাথী (১৩)। তবে বিয়ের পর সেই প্রেম আর মধূর হয়নি। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করতে থাকেন শশুর বাড়ির লোকজন। ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সাথীকে মারপিট করে তার স্বামী ও শাশুড়ি। তবে সাথী তার বাবার পরিবারের কাছে থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে। বুধবার ভোর বেলা সাথীর পরিবার জানতে পারেন তাদের মেয়ে বিষ জাতীয় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মারা গেছেন।
 
খবর পেয়ে বুধবার সকালে থানা পুলিশ শশুর বাড়ি থেকে নিহত সাথীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্বামী এবং শাশুড়িকে আটক করা হয়। নিহত সাদিয়া আক্তার সাথী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তল্লাপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত সাথীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার সকালে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাথীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 
গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন, নিহত সাথীর স্বামী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে লাইম মিয়া ওরফে নাহিদ (২০) এবং শাশুড়ি লাকি বেগম (৪০)।
 
মামলায় বলা হয়, ৩-৪ মাস আগে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সাথীকে বিয়ে করে নাহিদ। মঙ্গলবার দিনের বেলা যৌতুকের দাবিতে সাথীকে মারপিট করার পর রাতে তার স্বামী সাথীকে ঘুম থেকে জেগে উঠিয়ে মুখে বিষ জাতীয় গ্যাস ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেয় এবং ঘটনা অন্যদিকে নিয়ে যেতে শশুর বাড়ির লোকজনই তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে সেখানেই সাথীর মৃত্যু হয়।
 
মামলার বাদী নিহত সাথীর বাবা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘যৌতুকের জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার জামাতা ইতিপূর্বেও দুটি বিয়ে করেছিলো। যৌতুকের কারণে মারপিট করায় সেই দুজন চলে গিয়েছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থিা চাই।’
 
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নুরে আজমির ঝিলিক বলেন, অচেতন অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। অবস্থাা আশংকা জনক হওয়ায় আমরা রোগীতে দিনাজপুর মেডিকেলে রেফার্ড করি।’
 
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে বুধবার বিকেলে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য করুন


বাণিজ্যিক বিভাগ
নেওর ভবন (২য় তলা), স্টেশন রোড (সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে), রংপুর।
বার্তা বিভাগ
উৎসর্গ ভবন (৪র্থ তলা), স্টেশন রোড, রংপুর।
ই-মেইলঃ: uttorbangla@gmail.com
© 2012 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | উত্তরবাংলা ডটকম এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, ছবি পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।
Privacy Policy | Terms of Service | About Us
Link copied