আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ● ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরে হঠাৎ তীব্র শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি       হাসিনাকে নিতে ভারত কেন বিমান পাঠায়নি       আবু সাঈদকে নিয়ে শেখ হাসিনার দাবি কতটুকু সত্য       বেগম রোকেয়াকে কি প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করানো হচ্ছে?       রংপুরের মাহিন বেঁচে নেই জানেন না মা, বাবা ছুটেছেন ঢাকা      

 

চাকরীপ্রার্থীদের সাথে টাকার চুক্তি করতেন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪, দুপুর ১২:৩৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরু আবেদ আলীর দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়৷ চাকরি দেয়ার শর্তে একেকজনের সাথে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকা খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির। 

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রর হোতা আবেদ আলী ধরা পড়েছেন। ধরা পড়েছে কয়েক দোসর। তাদের অন্যতম একজন প্রিয়নাথ রায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। হতো সেই বিপুল অর্থের ভাগবাটোয়ারা। কে এই প্রিয়নাথ রায়?

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসি’র পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। চাকরি প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে। চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি পড়শিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকেনা। শুধু শোনেছি চাকরী দেয়ার নামে সে টাকা নিত। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে অনেকদিন ধরে বাড়িতে আসেনি। এখন দেখছি এমন কর্মকান্ড। 

গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায়, দায়ী করলেন পুত্রবধূকে। তবে দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি৷ 

প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা।কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসেনা।।

উল্লেখ্য, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন সিআইডি পুলিশ। তাদের অন্যতম প্রিয়নাথ রায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied