ডেস্ক: সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা কিছুটা কমলেও ঠাণ্ডা বাতাসে তাপমাত্রার পারদ ক্রমে নিচে নামছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এটি চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এ ছাড়া নওগাঁ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, পঞ্চগড়সহ এই চার জেলায় আরো তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। আগামী সপ্তাহে শীত আরো বাড়বে। তখন আরো কয়েকটি অঞ্চল দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া নৌপথে স্বাভাবিক পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। পদ্মা নদীর দুই পানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকছে ফেরিপারের জন্য আসা অসংখ্য গাড়ি। গতকাল সেখানে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাড়ে ছয় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ নিয়ে পাঁচ দিনে ঘন কুয়াশায় নৌপথটিতে প্রায় ২৫ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকল।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কয়েক দিন ধরেই দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘন কুয়াশা থাকার কারণে রাতের তাপমাত্রা কমছে না। আবার দিনের বেলা তাপ বিকিরণের সুযোগ না থাকায় এ সময়ও ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ৬ জানুয়ারির মধ্যে কুয়াশা অনেকটা কেটে যেতে পারে। এ সময় সারা দেশের তাপমাত্রা আরো কমে শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকবে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া জেলাগুলোর সঙ্গে নতুন করে কয়েকটি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ঘন কুয়াশা থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। কুয়াশা না থাকলে তাপমাত্রা কমে আসে। পঞ্চগড়ে সামনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।