আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ● ৫ পৌষ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ       আমাদের আর ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না: রংপুরে চরমোনাই পীর       নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ইপিজেডের নারী কর্মী সহ ২ জন নিহত       নীলফামারীতে প্রশস্তকরণ কাজে জমি অধিগ্রহনের চেক বিতরণ       নীলফামারীতে সেরা তিন রেমিটেন্স যোদ্ধাকে সন্মাননা প্রদান      

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরল

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ০২:২৬

ডেস্ক: দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ফিরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের কার্যতালিকায় আজ এক ও দুই নম্বরে ছিল এ বিষয়ক পৃথক দুটি রিট।

এদিন সকালে বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের রায় ঘোষণা শুরু হয়। সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। 

রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ আইন, ৭ অনুচ্ছেদ হলো এর ধ্রুবতারা।’

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। 

বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। 

জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।

উল্লেখ্য, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্টে রিট করেছিলেন। অন্য চার আবেদনকারী হলেন– তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

রিটে পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

গত ২০ অক্টোবর জারি করা রুল শুনানিতে তুলতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন (ম্যানশন) করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।২৮ অক্টোবর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল সমর্থন করে তাতে ইন্টারভেনার (সহায়তাকারী) হিসেবে যুক্ত হতে আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। ওইদিনই তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর একই আবেদন করে রুলে যুক্ত হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ ছাড়া এতে আবেদন করে আরও যুক্ত হয়েছেন- নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।গত ৪ ডিসেম্বর এসব আবেদনের শুনানি শেষ হয়। পরদিন ৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied