শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর: দিনাজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার ও অন্যের হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ১৮ জনের মধ্যে ৯ জনকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।মানবিক দিক বিবেচনা করে আটক নয় নারীকে শর্তসাপেক্ষে আদালত জামিন দিয়েছে।
আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আটককৃতদের দিনাজপুরের জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে বিচারক মনিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
দিনাজপুর পুলিশ কোর্ট ইন্সপেক্টর এ.কে.এম লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দিনাজপুর জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদর আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রর দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবেরা পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলার করেন।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান,আটককৃতদের কাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ব্লুটুথ ডিভাইস ও মোবাইল ফোন।
তিনি আরো জানান,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮ হাজার ৯ জন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ হাজার ৩৭৫ জন। পরীক্ষায় প্রক্সি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার এবং অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৮ জনকে বহিষ্কার ও আটক করা হয়েছে। আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ ।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রর দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবেরা পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলার করেন।
আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনকে আদালত জামিন দিয়েছেন।বাকি ৯ জনকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। যাদের জেল হাজিদের প্রেরণ করা হয়েছে,তারা প্রত্যেকে পুরুষ।আদালত জামিন দিয়েছে নারীদের।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর গ্রামর মতিয়ার রহমানের ছেলে শরিফুল আলম (২৮), বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান (৩২),বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়ারপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩২)বীরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩০), কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জামিল বাদশা (৩১) ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২৮), চিরিরবন্দর উপজলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সবুজ চন্দ্র রায় (৩৪), বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেল সায়েম মোল্লা তন্ময় (২৯) এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সুজন আলী (২৭)।