ডেস্ক: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুলি, হামলা ও পাল্টা হামলায় গতকাল রোববার অগ্নিগর্ভ ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে নিহত হয়েছেন ১৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০৩ জন। নিহতদের মধ্যে রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন এলাকার ৯২ জন। আর ঢাকায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন তিন সহস্রাধিক। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, এক সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের ১৯ নেতাকর্মী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জে। সেখানকার এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংঘাতে গতকাল সিরাজগঞ্জে প্রাণ গেছে ২২ জনের। আন্দোলন ঘিরে গত কয়েক দিনে এ নিয়ে মোট নিহত হয়েছেন ৩১৮ জন।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীর সঙ্গে গতকাল দিনভর আওয়ামী লীগ সমর্থক ও পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত অনেকের হাতে লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনদের অন্তত ৩৫ কার্যালয়ে ভাঙচুর শেষে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিপরীতে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে আগুন দেয় সরকার সমর্থকরা। অনেক এলাকায় এমপি ও নেতার বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।