নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী মাসুদ কিবরিয়াকে সভাপতি ও পরমা মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংসদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে কমিটির দপ্তর সম্পাদক মুন হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী কমিটিতে শীর্ষ পদ পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি মাসুদ কিবরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি প্রথম বর্ষে থাকাকালীন সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরমা মোস্তফা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির করিম কুয়াশার বিরুদ্ধেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ৩২তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়। কাউন্সিল সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সদ্য বিদায়ী সভাপতি শাকিলা খাতুন।
ছাত্র ইউনিয়নের নতুন এই কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা।
রাকিব হোসেন নামের একজন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মতো ঐতিহ্যবাহী একটা সংগঠনের ব্যানারে এসব ছাত্রলীগ কর্মীর প্রত্যাবর্তনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ কিবরিয়া বলেন, ‘প্রথম বর্ষে হলে সিটের জন্য আমি কিছুদিন ছাত্রলীগের প্রগ্রামে গিয়েছিলাম। পরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে তারা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। তাছাড়া ছাত্রলীগের রাজনৈতিক মতাদর্শ আমার কখনই পছন্দ ছিল না।’
এ বিষয়ে সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি কিন্তু তাদের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্তা পাইনি।
তারা আমাদের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন। এজন্যই আমরা তাদেরকে কমিটিতে রেখেছি। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি মেহেদি হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওফিক ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মেহের, দপ্তর সম্পাদক মুন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লাবিব হক। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন শাকিলা খাতুন, মিনহাজ হাবিব ও গোলাম মোস্তফা। এ ছাড়া ৪টি সদস্যপদ খালি রাখা হয়েছে।