স্টাফ রিপোর্টার(নীলফামারী)॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে হামলা ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ মতে সম্মেলন চলাকালিন আজ রবিবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
হামলায় লাঞ্চিত ও আহত হয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, প্রধান বক্তা কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, সম্মেলনের উদ্ধোধক জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ইয়াহিয়া আবিদ, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কৃষিবিদ লুৎফুল বারি,জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব এ্যাডঃ আজাহারুল ইসলাম।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ছুটি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদরে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় উক্ত সম্মেলন ভন্ডুল হয়ে যায়। এ ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব এ্যাডঃ আজাহারুল ইসলাম জানান, পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আজ রবিবার ডিমলা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে দুপুরে এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হবার পর দ্বিতীয় পর্বে কমিটি গঠনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাবনা করার জন্য ঘোষনা করা হয়।
সভাপতি পদে দরিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক পদে আব্দুল রাজ্জাকের নাম আসে। এ সময় হঠাৎ করে সম্মেলনের মঞ্চে ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজের নেতৃত্বে একদল যুবক এসে হামলা চালাতে থাকে। এতে মঞ্চে থাকা সকল অতিথিদের উপর মারপিট ও লাঞ্চিত করতে থাকে তারা। ভাংচুর করা হয় চেয়ার টেবিল।
জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক উক্ত সম্মেলনের উদ্ধোধক ইয়াহিয়া আবিদ জানান, পুলিশ এসে আমাদের ডিমলা থানায় নিরাপদে নিয়ে গেলে হামলাকারীরা থানায় গিয়েও আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আমাদের ডিমলা থেকে জেলা সদরে নিরপদে নিয়ে আসে। এতে কেন্দ্রীয় নেতা সহ আমরা সকলে আহত হই।
ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন জানান, আমরা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের অবগত করেছি। আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।