প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ঠাকুরগাঁও সেক্টরের অধীনস্থ নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সদা তৎপর রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানাধীন শুকানী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৭৪০/৩-এস এর সন্নিকট দিয়ে ৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালীন প্রতিপক্ষ ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মদনবাড়ী ক্যাম্পের টহল দল তাদের দেখতে পায় এবং বাধা প্রদান করতঃ বিষয়টি শুকানী বিওপিকে অবগত করে। বিএসএফ এর সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি চৌকষ আভিযানিক দল অদ্য ১১ ডিসেম্বর(বুধবার),২০২৪ তারিখ আনুমানিক ১৫০০(বিকাল ৩টা) ঘটিকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রাক্কালে ৫ জন (পুরুষ-৩ জন এবং মহিলা-২) বাংলাদেশী হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলো ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ধোন্দুগাঁও গ্রামের শ্রী বনোমালী বর্মন এর ছেলে মনিরাম বর্মন (৪৫), মনিরাম বর্মন এর স্ত্রী শ্রীমতি হিরা রানী বর্মন (২৫), ছেলে রিপন বর্মন (২১) ও মেয়ে পাপরী রানী বর্মন (১৩) এবং ধোন্দুগাঁও গ্রামের শ্রী বীরেন্দ্র নাথ বর্মন এর ছেলে নিমাই চন্দ্র বর্মন (২১)।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার দালাল চক্রকে নগদ ১,০০,০০০/- টাকা প্রদান করেছে এবং ঐ দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় এসেছে। বিজিবি কর্তৃক দালাল চক্রকে আটকের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ব্যক্তিগত ৪টি মোবাইল ফোন, ২ টি হাত ঘড়ি, ভারতীয় রুপি ৪০৫, বাংলাদেশী নগদ ১৪,৭০৭/- টাকা, স্বর্ণ অলংকার ১ ভরি এবং রুপার অলংকার ৭ ভরিসহ পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়। এছাড়া মনিরাম বর্মন এর মেয়ে পাপরী রানী বর্মন (১৩) প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাকে তার ভাইয়ের নিকট ওইদিন ১৭:৪৫(৫টা ৪৫) ঘটিকায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) কর্তৃক জানানো হয়, সদর দপ্তর বিজিবি এর নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।